Hijama, also known as cupping therapy, is a traditional medical practice involving the application of cups to the skin to create suction. It is often used for pain relief, blood circulation, and relaxation. Discover the benefits of Hijama therapy and its uses.
হিজামা (আরবি: حجامة অর্থ:”শোষণ”) হল প্রচলিত চিকিৎসার আরবি নামকরণ। মাথাব্যথা শরীরব্যথার মত অসুস্থতা নিরাময়ে এই চিকিৎসা প্রয়োগ করা হয়। হাদিসে এই চিকিৎসা পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে |
আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন তোমরা যে সকল জিনিস দ্বারা চিকিৎসা করো তার কোনটির মধ্যে উপকার থাকলে তা রক্তমোক্ষণের মধ্যে আছে।[৪]
আবূ কাবশাহ আল-আনমারী বর্ণনা করেন:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর মাথার মাঝখানে এবং দু’কাঁধের মাঝ বরাবর রক্তমোক্ষণ করাতেন এবং বলতেন: যে ব্যক্তি নিজ দেহের এ অংশ থেকে রক্তমোক্ষণ করাবে, সে তার কোন রোগের চিকিৎসা না করালেও তার কোন ক্ষতি হবে না।[৫]
ইবনু উমার বলেন:
আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: বাসি মুখে রক্তমোক্ষণ করানো উত্তম, তা জ্ঞান বৃদ্ধি করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং হাফেজের মুখস্থ শক্তি বৃদ্ধি করে। কেউ রক্তমোক্ষণ করাতে চাইলে যেন আল্লাহর নামে বৃহস্পতিবারে তা করায়। তোমরা শুক্র, শনি ও রবিবার রক্তমোক্ষণ করানো পরিহার করো এবং সোমবার ও মঙ্গলবার রক্তমোক্ষণ করাও, কিন্তু বুধবার তা করাবে না। কারণ এইদিনই আইউব (আলাইহিস সালাম) বিপদে পতিত হন। আর কুষ্ঠরোগ ও শ্বেতরোগ বুধবার দিনে বা রাতেই শুরু হয়
সুস্থ লোকেরাও হিজামা করাতে পারেন। এতে সুস্থতার সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। আপনার রোগ হলে যেমন ডাক্তারের কাছে যান। তারপর প্রয়োজন পড়লে অস্ত্রপোচারও করান। তেমনি আপনার শারিরীক রোগ যাদু/সিহরের সমস্যার জন্য হিজামা করাবেন। তাহলে ফায়দা স্বরূপ রোগ থেকে মুক্তি পাবেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি সুন্নাতের উপরও আমল করা হবে ইনশাআল্লাহ
বদ-রক্ত, রোগের জন্য দায়ী জীবাণু প্লাজমা বা ফ্লুইডের সাথে বের করে নিয়ে আসা হয়। যা শরীর থেকে রোগের জন্য দায়ী জীবাণু সরিয়ে ফেলে। এর মাধ্যমে বর্তমানে সংক্রামক সকল রোগের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়া অসংক্রামক অনেক রোগও ভালো হয় নিয়মিত হিজামা করালে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও রক্ত পরিষ্কার রাখে, শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত জৈব-রাসায়নিক বর্জ্য নিষ্কাশন করে।
হিজামা একটি চিকিৎসা যাতে অন্যান্য মেডিক্যাল ড্রাগসের মত কোন সাইড ইফেক্ট নেই। কেবল নিরাময় আছে (সুবহানাল্লাহ)। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নিজের জন্য এ চিকিৎসাটি করিয়েছিলেন
(১) রক্তদূষণ, উচ্চরক্তচাপ, (২) ঘুমের ব্যাঘাত, স্মৃতিভ্রষ্টতা, মানসিক সমস্যা, (৩) মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথা ব্যাথা, অস্থি সন্ধির ব্যাথা, পিঠে ব্যাথা, হাঁটু ব্যাথা, দীর্ঘমেয়াদী সাধারণ মাথা ব্যাথা, ঘাড়ে ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, পায়ে ব্যাথা, মাংসপেশীর ব্যাথা, দীর্ঘমেয়াদী পেট ব্যথা, হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যাথা।
(৪) সাইনুসাইটিস (৫) ব্রণ (৬) কোলেস্টেরল (৭) হাঁপানি (৮) গ্যাস্ট্রিক পেইন, গ্যাস্ট্রিক আলসার (৯) বিষক্রিয়া (১০) দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (১১) ত্বকের নিম্নস্থিত বর্জ্য নিষ্কাশন (১২) ফোঁড়া-পাঁচড়া (১৩) চুল পড়া (১৪) স্পোর্টস ইঞ্জুরি (১৫) হরমোনাল সমস্যা (১৬) ইরেক্টিল ডিসফাংশন [ই.ডি], (১৭) মাদকাসক্ত এবং আরও অনেক সমস্যার জন্য হিজামা কার্যকরী ইনশাআল্লাহ
আমাদের দেশে পূর্ব থেকে এই শিঙা লাগানোর একটা প্রথা প্রচলিত আছে, যা কিনা বেদে সম্প্রদায়ের মানুষজন করে থাকে, বিশেষ করে বেদে মহিলারা। এরা শিঙা লাগানোর কথা বলে বাড়ি বাড়ি মহল্লায় ডাকাডাকি করে বেরায়। শিঙা লাগানোর পাশাপাশি কৌশলে পরিবারের সার্বিক অবস্থা জেনে নানারকম কথার চাতুরতায় আপনাকে ধোকাবাজি করে:- নগদ অর্থ, স্বর্ণ অলংকার এবং ঘরের চাল, ডাল,তেল, ফ্রিজে থাকা সংরক্ষিত মাছ গোস্তও এমনি কাপড় চোপড়ও হাতিয়ে নিতে বেশ পটু। এরা শিঙা লাগানোর সময়ে ও আগে-পরে কিছু বাক্য উচ্চারণ/মন্ত্র পড়ে থাকে। অর্থাৎ যাদুর মন্ত্র পড়ে শয়তানের সাহায্য নিয়ে সে রোগিকে সাময়িকভাবে উপকার করে। সুতরাং এদের কাছে না যাওয়া, তাদের কাছ থেকে শিঙা না লাগানো জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা তথা ঈমান হেফাজত করা।